সোফির জগত বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ শ্রাবণী ঋতু
লেখকঃ ইয়োস্তাইন গোর্ডারনরওয়েজিয়ান লেখক ইয়োস্তান গার্ডারের লেখা বইয়ের বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ " তিন হাজার বছর যে কাজে লাগাতে পারেনা, তার জীবন অর্থহীন"---গ্যাটে |
বইয়ের শুরুতেই গ্যাটের এই উক্তিটি দেয়া। সোফির জগৎ বইয়ে তিন হাজার বছরের সব প্রশ্নের উত্তর হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবেনা কিন্ত এই তিন হাজার বছর কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তা এখানে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে।
দর্শনের ইতিহাস ধর্মী এক উপন্যাস, সোফির জগৎ।
আমাদের প্রাত্যাহিক জীবন, সমাজ কাঠামোকে দেখার যেই দৃষ্টিভঙ্গি তাই আমাদের দর্শন।
প্রতিটি মানুষই কোনো না কোনো দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে, অর্থাৎ প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো দর্শন রয়েছে। প্রতিটি ব্যক্তি ,লেখক, চিত্রশিল্পী, গায়ক থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, সিনেমার পরিচালক পর্যন্ত তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের চিন্তাধারা, তাদের দর্শন ছড়িয়ে দেয় সবার কাছে।
বইটিতে আলবার্টো নক্স নামের এক ব্যক্তি সোফি আ্যমুন্ডসন নামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দর্শনের ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন, চিন্তা করতে শেখান এই জগৎ নিয়ে।
"আমি কে?" আর "পৃথিবীটা কোথা থেকে এল?" এই দুটি প্রশ্ন বোধহয় আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রশ্ন। মানুষ যখন থেকে চিন্তা করতে শিখেছে তখন থেকেই এই প্রশ্ন দুটির পেছনে তাড়া করে বেড়িয়েছে।
আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হওয়া প্রশ্নগুলি নিয়ে চিন্তিত হওয়া কিন্ত সবচেয়ে কঠিন কাজ। কোনো বিশ্বকোষ ঘেটে আমরা এর উত্তর খুঁজে পাব না।
"আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটে এর পেছনে কি কোনো ইচ্ছা বা অর্থ রয়েছে?"
"মৃত্যুর পর কি জীবন আসে?"
আমরা কি, কেন এসেছি কিংবা জীবনটা যে কি চমৎকার, এটা হয়ত অসুস্থ না হলে আমরা বুঝতে শিখিনা বা বোঝার চেষ্টাও করিনা। লেখক এখানেই আঘাত হানতে চেয়েছেন।
লেখকের দৃষ্টিতে এই মহাবিশ্ব হল কোনো এক জাদুকরের টপ হ্যাট থেকে বেরিয়ে আসা এক সাদা খরগোশ। আর আমরা সেই খরগোশের গায়ের রোমে বাসা বাঁধা আনুবীক্ষণীক কিট।
যুগ যুগ ধরে মানুষ খরগোশের সেই রোম বেয়ে উঠতে চেয়েছে, চোখ রাখতে চেয়েছে জাদুকরের চোখে। জানতে চেয়েছে তার সৃষ্টির রহস্য। আর তা থেকেই জন্ম নিয়েছে দর্শন।
ভাল দার্শনিক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যেটি আমাদের প্রয়োজন তা হল বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা। শিশুদের এই ক্ষমতাটি আছে। কিন্ত দুঃখজনকভাবে যতই তারা বড় হতে থাকে ততই সেই ক্ষমতা হারাতে থাকে, আর তারা নিজেরা হারিয়ে যেতে থাকে খরগোশের রোমের গহীন থেকে আরও গহীনে। বেশিরভাগ মানুষই রোমের এই গভীরে আরাম করে বসে তার গোটা জীবন কাটিয়ে দেয়। জানতেও চায়না সেই জাদুকরকে, তার টপ হ্যাটের রহস্যকে।
এই বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ের টাইটেল ও সাবটাইটেল দেখলে যে কারোরই আগ্রহ জন্মাবে পড়ে দেখার। প্রথমেই লেখক বিখ্যাত ধর্মীয় পুরানের আদি মানব মানবী যে স্বর্গে বসবাস করতেন তার নাম 'নন্দন কানন' দিয়ে সাবটাইটেল দেন " ...কোনো এক পর্যায়ে কোনো একটা কিছু নিশ্চয়ই শুণ্য থেকে সৃষ্টি হয়েছিল"।
পশ্চিমা দর্শন আর দার্শনিকরা একের পর এক ফুটে উঠেছে এই লেখায়। প্রাচ্যের দর্শন সম্পর্কে কোনো আলোচনা এই বইয়ে না থাকাকে এক অর্থে বইটির ত্রুটিও বলা চলে। আদিম মানুষের পৌরাণিক চিন্তা থেকে শুরু হয় দর্শনের গল্প। এরপর জন্ম নেয় প্রকৃতিবাদী দর্শন যেখানে থেলিস থেকে ডেমোক্রিটাস একে একে মানুষের উৎপত্তির ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন, এসেছে ভিন্ন ভিন্ন দার্শনিক চিন্তা।
এরপর গ্রিক দেশে জন্ম নেয় বুদ্ধিবাদী দর্শন, যেখানে মানুষ প্রকৃতির স্বরূপ খোঁজা থেকে বের হয়ে সমাজ ও মানুষের দিকে মনোযোগ দেন। সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল আধিপত্য করেন সেখানে। সক্রেটিস শিরোনামে অধ্যায়ের শিরোনাম দেওয়া হয় সক্রেটিসের সেই বিখ্যাত উক্তিকে
"যে জানে যে সে কিছুই জানে না সে-ই সবচেয়ে জ্ঞানি"
পরবর্তীতে এই গ্রিক দার্শনিকদের অনুসারী রূপে বিভিন্ন দর্শন চিন্তার উদ্ভব ঘটে। উদ্ভব ঘটে হেলেনিজমের। যারা সুখ, দুঃখ, মৃত্যু, জীবন নিয়ে বিভিন্ন চিন্তা দিয়ে গেছেন।
"মৃত্যু আমাদের বিচলিত করেনা, তার কারণ যতক্ষণ আমরা জীবিত আছি ততক্ষণ মৃত্যুর কোনো অস্তিত্ব নেই। আর যখন তা আসে তখন আর আমাদের কোনো অস্তিত্ব থাকেনা"
---এপিকিউরীয়দের কথা
বিরাগী, স্টোয়িক, এপিকিউরীয় এই সমস্ত দর্শনগুলিই সেই যুগে সক্রেটিসের শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত।
এছাড়াও প্লেটোর দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জন্ম নেয় নব্য প্লেটোবাদ। মানুষ বিশ্ব চিদাত্মার সাথে একাত্ম হয়ে জন্ম দেয় মরমীবাদের।
সেই সাথে বহুদেবত্মবাদ ও সীমাইটদের(ইহুদী, খ্রিষ্ট, ইসলাম বা একেশ্বরবাদী) দর্শন পৃথিবীতে জায়গা করে নিতে থাকে।
যীশুর মৃত্যুর পর পলের মাধ্যমে খ্রিষ্টীয় দর্শন ছড়াতে থাকলেও, কনস্টান্টিনোপল খ্রিষ্ট ধর্মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দান করেন।
খ্রিষ্ট ধর্মের প্রসার মূলত ঘটে মধ্যযুগ থেকে। ৪০০-১৪০০ খ্রিস্টাব্দ ছিল মধ্যযুগ বা বলা যায় ইউরোপীয় সভ্যতার অন্ধকার যুগ। সেই মধ্যযুগের চ্যাপ্টার বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক চ্যাপ্টারটির উপশিরোনাম দেন 'পথের কেবল খানিকটা যাওয়া আর ভুল পথে এক কথা নয়.....
অবশেষে ১৪শ সালের পর মানুষ যেন আলোর মুখ দেখল এক অন্ধকার থেকে বেরিয়ে।
রেনেসাঁর মানবতাবাদীরা জ্ঞানের একমাত্র প্রচারকারী হিসেবে গীর্জার ভূমিকার অবসান ঘটায়। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আর আবিষ্কার দেখা দিতে থাকে যা মানুষকে শেষ অবধি পৌঁছে দেয় চাঁদে কিংবা হিরোশিমায়।
মানুষ সেসময়টায় পৃথিবীতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে থাকে, জীবনকে শুধু মৃত্যুর প্রস্তুতি হিসেবে গণ্য করল না। মানুষ সেসময় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেয়েছিল। তবে গীর্জা এসবকে খুব একটা সহানুভূতির চোখে দেখত না।
তারই ফলস্বরূপ সূর্য কেন্দ্রিক মহাবিশ্বের প্রচারণার জন্য জিওদার্নো ব্রুনোকে জ্যান্ত আগুনে পুড়ে মরতে হয় ধর্মান্ধদের হাতে।
তবুও মানুষ ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছিল বৈজ্ঞানিক চিন্তার দিকে। গ্যালিলিও, নিউটন মানু্ষকে সেদিকে ধাবিত করছিল।
মানুষ তখন নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছিল, আর তাতে জন্ম নেয় অভিজ্ঞতাবাদী দর্শন।
এরপর সপ্তাদশ শতাব্দীতে আসে "বারোক যুগ" তার বিখ্যাত "আজকের দিনের জন্য বাঁচো" বা "জীবন একটা রঙ্গমঞ্চ" বার্তা নিয়ে।
তবে মুদ্রার অপর পিঠে জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষের সংখ্যাও কম ছিলনা।
সেসময় বুদ্ধিবাদী দর্শন নিয়ে জন্ম নেয় দেকার্ত, স্পিনোজা, ফ্রান্সিস বেকনরা। দেকার্তে প্রায় সকল বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন অনেকটা সক্রেটিসের মতোই। যখন তিনি জানতে পারেন সান্তাক্লজ মিথ্যা, ফেয়ারি টেলসসমূহ মিথ্যা তখন তিনি নিজেকে প্রশ্নবানে জর্জরিতকরেন যে তিনি আর কি কি জানেন যেগুলো আসলে সত্যি নয়। অন্য দিকে স্পিনাজো প্রকৃতিবাদী দর্শনের প্রবাদপুরুষ যিনি বলতে চেয়েছেন এমনকি ইশ্বরের পক্ষেও প্রকৃতির নিয়মকে অগ্রাহ্য করা সম্ভব না। আসলে তিনি বলতে চেয়েছেন প্রকৃতিই ইশ্বর। পরবর্তীতে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন স্পিনাজোর দর্শন দ্বারা প্রাভাবিত হয়েছিলেন। দেকার্তে, স্পিনাজো প্রত্যেকেই কেবল অসাধারণ দার্শনিক ছিলেন তাই নয় তারা প্রত্যেকেই ছিলেন অসামান্য গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী। অবশ্য পূর্বের সকল দার্শনিকদের ক্ষেত্রেই এই উপাধি খাটে। এমনকি নিউটনের সবচেয়ে বিখ্যাত বইয়ের নামের সাথেও জড়িয়ে আছে দর্শনের নাম। আবার ফ্রান্সিস বেকন বৈজ্ঞানিক গবেষনা কিভাবে করা হবে সে সংক্রান্ত পদ্ধতি দাড় করান।
পরবর্তী সময়ে জগতের সমস্ত জ্ঞান আসে অভিজ্ঞতা থেকে এধরনের ধারণার পুনরুদিত করে, অভিজ্ঞতাবাদ নিয়ে আসেন জন লক, ডেভুড হিউম, বার্কলে। বার্কলে মানব মনের বাইরে কোনো বস্তুজগতের অস্তিত্ব অস্বীকার করেন।
এরপর ১৭৮৭ সালে ঘটে ফরাসী বিপ্লব।
সেসময়ের উল্লেখযোগ্য দার্শনিক ছিলেন মতেস্কু, ভলতেয়ার, রুশো, কান্ট প্রমুখ।
তারা আবার প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন এবং প্রাকৃতিক ধর্মের কথা তোলেন। মানবাধিকার প্রসঙ্গও সেসময় তীব্র হয়ে ওঠে। কান্টই সর্বপ্রথম জাতিসংঘের ধারণা দেন। ভাববাদ ও বস্তুবাদের সমন্বয়ের কথাও বলেন দার্শনিক কান্ট। সেই সঙ্গে নারী অধিকার ব্যাপারেও অনেকেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন, তারই সাথে জন্ম হয় নারীবাদের।
কান্টের দর্শনের পরে অনূভুতি, কল্পনা, অভিজ্ঞতা, আকুতি নিয়ে জন্ম নিল রোমান্টিসিজম। তারা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যকে কাজে লাগিয়ে অবারিত অহম পুজার মধ্য দিয়ে নিয়ে গেল, যা জন্ম দিল শৈল্পিক প্রতিভাকে মহিমান্বিত করার বিষয়টির। এদের মধ্যে বেঠোফেন, গ্যাটে, বায়রন, শেলী ছিলেন উল্লেখযোগ্য।
রোমান্টিকদের এক উত্তরসূরি হলেন হেগেল। যিনি বলেছেন সমস্ত জ্ঞানই মানবিক জ্ঞান। আর দর্শন হল বিশ্ব চিত্তের আয়না।
হেগেলের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকারী হিসেবে আসেন কিয়ের্কেগার্ড। তিনি জীবনকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন---ভোগী স্তর, নৈতিক স্তর
এবং ধর্মীয় স্তর
অতঃপর দুনিয়াকে পাল্টানোর চিন্তা নিয়ে আবির্ভাব হয় কার্ল মার্কসের। যিনি বলেন দর্শনের কাজ শুধু দুনিয়াকে ব্যাখ্যা করা নয়, দুনিয়াকে পাল্টানোও।
দর্শনকে সম্পূর্ণরূপে ভাববাদ থেকে মুক্ত করেন মার্কস। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদকে মানুষের চিন্তা থেকে শুরু করে, মানুষের জীবনের মধ্যে প্রয়োগ করে তিনি দেখান যে সব কিছুই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। একজন ঈশ্বর বা ভাব যাই বলি তা সেই সমাজের বস্তু থেকে আসা চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি পুঁজিমুক্ত শোষণহীন সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেন এবং সাম্যবাদের ধারণা দেন।
সেই সময়ের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন চার্লস ডারউইন। তিনি প্রাণীজগতের বিবর্তন নিয়ে কাজ করেন, যা এই প্রাণীর উদ্ভব ও জীবন নিয়ে ধারণা দেয়। পূর্বে মানুষের ধারণা ছিল যে প্রাণীজগৎ অপরিবর্তনীয়। ডারউইনের তত্ত্ব এই ধারণাকে নড়বড়ে করে দেয়।
এরপর ফ্রয়েড ধারণা দেন তার নির্জ্ঞান মনের তত্ত্ব নিয়ে, যা মানব মনের ব্যাখ্যা প্রদানে ভূমিকা রাখে। স্বপ্ন, পাগলামি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফ্রয়েড করেছেন যদিও নিউরোসায়েন্সের বিকাশের ফলে ফ্রয়েডের বেশিরভাগ চিন্তাই বাতিল করা হয়েছে।
বিংশ শতকে দর্শনে ভূমিকা রাখেন ফ্রিডরিখ নীটশে এবং সার্ত্রে তার অস্তিত্ববাদ নিয়ে। ফ্রিডরিখ নিটশের অতিমানবের ধারণায় তুষ্ট হয় জার্মান নাৎসিবাদ। অন্যদিকে সাত্রের অস্তিত্ববাদের আপ্তবাক্যই ছিল "Man is condemned to freedom" অর্থা, মানুষ স্বাধীনতার দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত, যা মানুষকে পৃথিবী সম্পর্কে এক নিস্পৃহ মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি জন্ম নেয় মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে কতগুলো থিওরী।
বিগ ব্যাং থিওরী তার মধ্যে অন্যতম, যা দ্বারা এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি, বিকাশ ব্যাখ্যা করা যায়।
একই সাথে মানুষ ধারণা করতে শুরু করে মহাবিশ্বের অন্তীম দশা নিয়ে।
মানুষের কাছে যেন ধীরে ধীরে ধরা দিতে শুরু করেছে তার সৃষ্টির রহস্য।
থেমে নেই দর্শন।
"আমরা কেবল আমাদের মধ্যেই জীবন যাপন করিনা, আমরা আমাদের ভেতরে আমাদের ইতিহাসকে বয়ে নিয়ে বেড়াই"
হাজার হাজার বছরের এই সমস্ত চিন্তাধারা যেন আমরা নিজেদের মধ্যে ধারণ করে এগিয়ে চলেছি।
খরগোশের রোমকূপ থেকে বেড়িয়ে চোখ রাখতে চলেছি জাদুকরের চোখে।
লেখক তার লেখার মাধ্যমে এই দর্শনগুলোকে, হাজার বছরের মানুষের চিন্তাকে আমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
জগতের রহস্যকে জানার আগ্রহ, উপলব্ধি তৈরি করতে চেয়েছেন। চেয়েছেন যেন মানুষ প্রশ্ন করতে শেখে, তার এই চিরচেনা জগতের অচেনা রূপ জানার চেষ্টা করতে শেখে।
তারা যেন সেতু তৈরি করতে পারে জীবন আর জগৎ এর মধ্যে, ভেদ করতে পারে সৃষ্টির রহস্য আর যেন চোখ রাখতে পারে জাদুকরের চোখে।
0 Comments