কোভিড নিয়ে আমরা যে ভুলগুলো প্রতিনিয়ত করে চলছি

  

গত ২৯ জানুয়ারি গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত " Everyday Covid mistakes that we all are still making " শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আর্টিকেল এর অনুবাদ করেছেন মাহমুদুল হাসান, পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে।

ইংল্যান্ডে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমছে কিন্তু এখনো অস্বাভাবিক উচ্চ রয়েছে একমাস লকডাউন থাকার পরও। তো ব্যাক্তিগতভাবে আমরা কি ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া দমনে আরো কিছু করতে পারি না?


একজন ভাইরোলজিস্ট, একজন মনোবিজ্ঞানী, এবং একজন গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আমাদের সাথে কিছু কোভিড-ভুল নিয়ে তাদের মতামত শেয়ার করেছেন যেগুলো আমরা এখনো করছি।

 

কি কি করা যাবে না সেটাকে প্রাধান্য না দিয়ে  কি  কি করা যাবে সেটাকে প্রাধান্য দেয়া


যদিও আমরা লকডাউনে আছি প্রথমবারের চাইতে এখন আমাদের আরো বেশি সামাজিক মেলামেশার সুযোগ রয়েছে;উদাহরণস্বরূপ ইংল্যান্ডে আপনি বন্ধুর সাথে শরীরচর্চা করতে পারেন, বাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী, আয়া, ব্যবসায়ীক লোকজন আনতে পারেন এবং অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে নানারকম কাজে যুক্ত হতে পারেন। এধরণের কাজের


অনুমতি মানসিক স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু পুরোপুরি নিরাপদ নয়। একটা সাধারণ সমস্যা হচ্ছে দুই ধরনের লোকদের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করতে না পারা যাদের আপনি দুটো ভিন্ন প্রেক্ষিতে দেখেন। "উদাহরণস্বরূপ, কমবয়সী ছেলেমেয়েরা ভাবে তারা তাদের বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিশতে পারে কারণ তারা জানে তাদের বন্ধুবান্ধবরা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে নেই। এরপর ওরা ওদের দাদা-দাদির কাছে যাবে এবং তাদের সাথে মিশবে একটু সতর্ক হয়ে কিন্তু ততটাও না যতটা প্রয়োজন। উল্লেখ্য ওরা ভাবে  ওরা কেবল ওদের বন্ধুদের সঙ্গেই অবাধে মিশেছে আর এদিকে ওদের বন্ধুরা সবার সঙ্গেই অবাধে মিশেছে"।

কথাগুলো বলছিলেন ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য মনোবিজ্ঞানের প্রফেসর এবং আচরণিক পরামর্শ বিষয়ক সেজ সাবকমিটির (Sage subcommittee) সদস্য লুসি ইয়ার্ডলি।

 

এমনকি যদি কমবয়সীরা তাদের দাদা-দাদিদের এড়িয়ে কেবল পিতামাতার সাথেই মিশে, তাদের পিতামাতা হয়তো তাদের দাদা-দাদির সাথে মিশেন। ইয়ার্ডলি বলেন " লোকজন ঠিকঠাকভাবে বোঝেননা কিভাবে এধরণের অবাধ মেলামেশা চক্র চলতে থাকে"। এটা কেবল তরুণরা নয়ঃ" আমি এমন বাবা-মা দের ইন্টারভিউ দেখেছি যারা বিভিন্ন দিক থেকেই যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করছেন অথচ মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করে তাদের ছেলেমেয়েদের মিশতে দিচ্ছেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে, এরপর  দাদ-দাদির সাথেও মিশতে দিচ্ছেন উভয়ের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে।আমি নিশ্চিত বাবা-মা চাচ্ছেন না দাদা-দাদি সংক্রমিত হোক। কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার জন্য এরচেয়ে ভালো উপায় বোধহয় আর নেই।"

 

ওইসব বন্ধুদের বিশ্বাস করা যারা বলে "আমি সতর্কতা অবলম্বন করি"


ওইসব বন্ধু বা ব্যাবসায়িক সহযোগীদের ব্যাপারে সচেতন থাকুন যারা আপনাকে নিশ্চয়তা দিয়ে বলে যে তারা সকল নিয়মের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থেকেছে এবং যেই কাশিটা মাত্র দিয়েছে সেটা শুধুই একটা সাধারণ কাশি ছিলো। "অনেকেই তাদের সামাজিক দূরত্ব ভাঙার কথা কিংবা উপসর্গ থাকার কথা স্বীকার করেনা",ইয়ার্ডলি বলেন। ৫৫১ জন প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানের ওপর করা একটা স্টাডিতে দেখা যায় তাদের এক চতুর্থাংশই

 

সামাজিক এবং শারীরিক দূরত্ব মানার ব্যাপারে মিথ্যে বলেছেন যখন মানুষজন তাদের জিজ্ঞেস করেছে  এবং তাদের মধ্যে যারা করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তাদের ৩৪% মানুষের কাছে উপসর্গের ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করেননি।

 

বায়ুবাহিত 'বলতে আসলে কী বোঝায় তা বুঝতে অসমর্থ হওয়া

 

লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্পিরেটরি সাইন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ক্লিনিক্যাল ভাইরোলজিস্ট জুলিয়ান ট্যাং এর ভাষ্যমতে, আপনি যদি কারো নিঃশ্বাসের রসুন, মদ কিংবা সিগারেটের গন্ধ বুঝতে পারেন তাহলে আপনি কেবল বাতাসে সেই গন্ধটাই পাচ্ছেন না, পাশাপাশি তার নাক-মুখ থেকে নির্গত হওয়া ভাইরাসও পেয়ে যাচ্ছেন ফ্রি-তে যদি সে আক্রান্ত হয়ে থাকে।" কী পরিমাণ ভাইরাস নির্গত হবে তা ব্যক্তি এবং তার প্রতিরক্ষা সাড়ার ওপর নির্ভরশীল তবে আপনি বেশ কিছুক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে থাকলে সংক্রমিত হওয়ার মতো যথেষ্ট ভাইরাস পেয়ে যেতে পারেন।"কেউ যদি আপনার অফিসের বিপরীত প্রান্তেও সিগারেট ধরায় আপনি শেষ পর্যন্ত গন্ধটা পেয়ে যান এবং বায়ুবাহিত ভাইরাসগুলো বদ্ধ ইনডোর পরিস্থিতিতে জমা হতে থাকে আর এজন্য 'বায়ুচলাচল' গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। 'বায়ুচলাচল' বলতে শুধু একটা জানালা খুলে দেয়া বোঝায় না।"নামের মধ্যেই সংকেত টা আছে;বায়ু বা বাতাস",বলেন গ্যাব্রিয়েল স্ক্যালি, ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির গণস্বাস্থ্য বিষয়ক ভিজিটিং প্রফেসর এবং সেজ(SAGE) এর একজন সদস্য। "হাওয়ার একটা দমক থাকা লাগবে। কর্মক্ষেত্র,দোকানপাট অথবা যেকোনো বদ্ধ জায়গায়

 

বায়ুচলাচল নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এমনকি ঘরেও কেননা এখানেই বেশিরভাগ সংক্রমণ সংঘটিত হয়।

 

"মানলে সব মানবো, না মানলে একটাও মানবো না" এই নীতিতে চলা

 

এটা উত্তরোত্তর পরিলক্ষিত হচ্ছে যে আপনার অসুস্থতার তীব্রতা কিংবা আদৌ সংক্রমিত হবেন কিনা তা নির্ভর করছে আপনি কী পরিমাণ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসছেন তার ওপর।তার মানে আপনার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যদি অসম্পূর্ণ ও হয়ে থাকে তা-ও একেবারেই উদাসীন থাকার চেয়ে ভালো। 'Germ defence' ওয়েবসাইট (এখানে ভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর ব্যাবহারিক টিপস দেয়া হয়) এর নির্মাতা ইয়ার্ডলি বলেন "আপনি প্রতিরোধমূলক যত সামান্য কিছুই করেন, কাজে আসে এবং আসবে"। কিছু বিশেষজ্ঞ এক্ষেত্রে 'Swiss Cheese Model' এর কথা বলেন অতিমারী মোকাবেলায়। একটা সুইস চিজের কথা চিন্তা করুন যেটা স্লাইস করে কাটা।প্রত্যেকটা লেয়ার ছিদ্রযুক্ত যেখান দিয়ে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু সবগুলা লেয়ার পাশাপাশি রাখলে? মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব, কম মেলামেশা, ঘনঘন হাত ধোয়া -এভাবেই স্তরে স্তরে সংক্রমন উল্লেখযোগ্য হারে কমানো সম্ভব।

 

ঘরের বাইরে সবকিছুকেই নিরাপদ মনে করা

 

আউটডোরে লোকজনের সাথে কথা বলার ঝুঁকি  ইনডোর সংক্রমণের কিছু ভগ্নাংশের সমান,কিন্তু পুরোপুরি নিরাপদ নয়।আপনি যদি বাইরে কারো পাশে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন,উদাহরণস্বরূপ বাসের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময়, বিশেষত যদি কোনো দেয়ালের পাশে কিংবা কোনো ছাউনিতে দাঁড়ান তাহলে ধীরে ধীরে আপনার প্রশ্বাসের সাথে ভাইরাস আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে। ট্যাং বলেন," যদি বাস আধঘন্টাও দেরি হয়, যেটা আদতে হয়-ই তাহলে আপনি আপনার অনুমানের চেয়েও বেশি ভাইরাস গ্রহণ করে ফেলবেন। ভাইরাস গন্ধহীন, তাই বুঝবেন ও না যে ভাইরাস আপনার ফুসফুসে প্রবেশ করছে।" কাজেই ব্যস্ত শপিংয়ের রাস্তায় একটু খেয়াল রাখবেন কিন্তু মনে রাখবেন স্থায়ীত্ব এবং সংস্পর্শের দূরত্বও গুরুত্বপূর্ণ। "মানুষজন এখনো পার্কে একটা জগিং করা লোককে নিয়ে চিন্তা করে কিংবা রাস্তার কোণে জটলা করে থাকা 'দায়িত্বজ্ঞানহীন" কিশোরদের দিকে আঙুল তোলে। এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণস্বাস্থ্য বিভাগের প্রফেসর লিন্ডা বোল্ড বলেন "যদিও এগুলার কোনোটাই ঝুঁকিমুক্ত না, কিন্তু আমার মনে হয় এসবে অতিরিক্ত  মনোযোগ দিচ্ছে মানুষ। যেখানে আমাদের বেশি ফোকাস করা উচিত ছিলো যেকোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ মেলামেশায় যেখানে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচল নেই এবং মুখ ঢাকা হয়নি"।


অপর্যাপ্ত মুখমন্ডল ঢাকা

 

হাত, মুখ, দূরত্ব (hands, face, space) মন্ত্রটা আসলে উলটো করে

 

বলা। এ সব-ই ভাইরাসের ট্রান্সমিশন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু স্বল্প এবং অধিক মাত্রার জনসমাগম এড়িয়ে চলা সহ শারীরিক দূরত্ব মেইনটেইন করার প্রভাব সবচেয়ে বেশি-ট্যাং বলেন।" মাস্ক পরা মাঝামঝিতে অবস্থান করে কিন্তু আপনি যদি ব্যাক-আপ হিসেবে মাস্ক পরেন যেখানে শারীরিক দূরত্ব মেইনটেইন করা সম্ভব হচ্ছেনা এবং বায়ুচলাচল কম, তখন মাস্ক অনেক কার্যকর একটা জিনিস"।

এখন যুক্তরাজ্য সরকারের নির্দেশনা হচ্ছে এমন ফেস কাভারিং ব্যবহার করা যাতে নাক, মুখ দুটোই ঢাকা পড়ে। স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ন্যূনতম দুইটা স্তর থাকতে হবে যদিও স্কার্ফ, পট্টি, নেকাব ও গ্রহণযোগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তিন স্তর বিশিষ্ট ফেব্রিক মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।

স্ক্যালি বলেন,এই পরামর্শ এই ভাইরাসের অন্যান্য সংক্রামক প্রকরণ প্রতিরোধেও কার্যকর হতে পারে।" আমার মনে হয় ভবিষ্যতে হয়তো খুব শক্ত ভাষায় জানিয়ে দেয়া হবে যে,তিন স্তর যুক্ত মাস্ক যেটাতে আমরা অভ্যস্ত ঐটা সংক্রমণ ঠেকাতে যথেষ্ট না এবং আমাদের হয়তো এফএফপি২- টাইপ ভেন্টিলেটর মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।"

এগুলো ইতোমধ্যেই অস্ট্রিয়া, বাভারিয়াতে দোকানপাট এবং গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফ্রান্স এবং জার্মানিতে সার্জিক্যাল মাস্ক বাধ্যতামূলক।কাপড়ের মাস্কের সমস্যা হচ্ছে এগুলা কোয়ালিটি বিভিন্ন রকমের হয়। কিছু কিছু তিন স্তরের কাপড়ের মাস্ক সার্জিক্যাল মাস্কের মতোই কার্যকরী কিন্তু পাতলা এক স্তর যুক্ত কাপড়ের মাস্ক গুলো অনেক কম কার্যকর।

 

ভ্যাক্সিনেটেড হওয়া মানে নিশ্চিন্ত থাকা' তে বিশ্বাস করা


ব্রিটেনের ভ্যাক্সিনেশন প্রোগ্রাম দ্রুতই এগুচ্ছে কিন্তু এখনো ৯০% জনগোষ্ঠী একটা সিংগেল ডোজও পায়নি এবং পেতেও অনেক মাস লেগে যাবে। একটা ডোজ পাওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ লাগবে ইমিউন রেসপন্স তৈরি হতে। এমনকি এরপরও দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার আগ পর্যন্ত কতটুকু নিরাপদ তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।তাছাড়া ভ্যাক্সিন নেয়ার পরও আপনি কতটুকু ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধ করবেন তাও স্পষ্ট না।জরিপ থেকে জানা যায় যে যেসব ব্রিটিশরা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তারা বন্ধু এবং পরিবারের সাথে দেখা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যেটা সংক্রমণের হারের আরেকটা ঊর্ধ্বগতির কারণ হতে পারে। ভ্যাক্সিন শেষমেশ আমাদেরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে কিন্তু আমাদের বিপদ এখনো কাটেনি।


 দুইবার করোনা আক্রান্ত হব না ভাব

 

যেসব ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা বিরল কিন্তু এটা ঘটে। পূর্বে তুলনামূলক কম সংক্রমিত হয়ে থাকলে কারো পূনরায় আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে তেমন জানা যায় না যেহেতু এদের বেশিরভাগেরই টেস্ট করানো হয়নাই প্যান্ডেমিকের শুরুর দিকে।আবার কেউ একজন পূর্বে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এখন নিজে উপসর্গ দেখানো ছাড়াই ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছেন কিনা তা-ও স্পষ্ট জানা যায়নি।কাজেই আপনি যদি আগে আক্রান্ত হয়েও থাকেন, আপনার উচিত আগের মতোই নিয়মগুলো মানতে থাকা।আপনি যদি কখনো কোভিড পজিটিভ না হয়ে থাকেন এবং মনে করেন যে আপনার শুরুতেই পজিটিভ হয়ে গেছিলো তাহলে আপনাকে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ অন্যান্য ভাইরাসও একই উপসর্গ দেখাতে পারে।

 

মূল লেখার লিংকঃ https://www.theguardian.com/world/2021/jan/29/everyday-covid-mistakes-we-are-all-still-making?utm_term=Autofeed&CMP=fb_gu&utm_medium=Social&utm_source=Facebook#Echobox=1611966175

অনুবাদ-

Post a Comment

2 Comments

  1. লেখাটির অনুবাদ করে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
  2. লেখাটির অনুবাদ করে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

    ReplyDelete